শিগগিরই জনসম্মুখে ফিরবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যোগ দিতে পারবেন নির্বাচনী প্রচারণায়। এমনটাই জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। বলেছেন, করোনা আক্রান্ত ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনী প্রচারণায় যোগ দিতে মুখিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্পও।
আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় ১০ দিন ধরে হাসপাতাল ও হোয়াইট হাউসে ‘বন্দি’ থাকার পর আজ শনিবারই ফ্লোরিডায় একটা জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের চিকিৎসক শন কোনলি দাবি করেছেন, ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট তার চিকিৎসা কোর্স সম্পন্ন করেছেন এবং শিগগিরই জনসংযোগে অংশ নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা বেশ স্থিতিশীল আছে।’ তবে ট্রাম্পের শারীরিক সক্ষমতা ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
সরকারি দায়িত্ব পালনে ট্রাম্প মানসিকভাবে সুস্থ কি না, তা পর্যালোচনা করতে একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছেন এই ডেমোক্র্যাট নেত্রী। এমনকি প্রয়োজন হলে তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের লক্ষ্যে সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী নিয়ে আলোচনার ঘোষণা দিয়েছেন।
ওয়াশিংটনে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পেলোসি জানান, শুক্রবারই অন্যান্য ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন তিনি।
মার্কিন সংবিধানের ২৫তম সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট অসুস্থ হলে এবং দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’ কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি ট্রাম্প।
এ বিষয়টি জানতে মূলত সাংবাদিকরা ওই প্রশ্ন করেন। জবাবে ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘শুক্রবার আপনারা এখানে আসুন, আমরা ২৫তম সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।’ পেলোসির এমন উদ্যোগে চটেছেন ট্রাম্প। এটাকে ডেমোক্র্যাটদের ‘পাগলামি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘ন্যান্সিকে পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে ক্যু করার ষড়যন্ত্র করছেন।’ খবর এএফপি ও আলজাজিরা।
Sharing is caring!