এ.আর.তারেক :: মা ও মাতৃভাষা বাঙালির প্রাণের স্পন্দন।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণ অক্ষরে রচিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন দেশ মা ও মাতৃভাষা, তাদের কি আমরা শুধু ফুলের তোরা দিয়েই সম্মান প্রদর্শন ও জনসম্মুখে স্মৃতিচারণ করেই সম্মান জানাচ্ছি।এ-রখমই একটি আবেগেম স্টেটাসের মাধ্যমে মনের অতৃপ্তি তুলে ধরেছেন কুলাউড়ার প্রয়াত মুক্তিযুদ্ধা তৈয়ব আলীর ছেলে, মুক্তিযুদ্ধা সন্তান সংসদ কুলাউড়া উপজেলার সদস্য সচিব এমদাদুল হক।
তিনি তার আবেগময় স্টেটাসে বলেন, অনেক কষ্ট নিয়ে একটি পোস্ট করলাম, আশাকরি সবাই দেখবেন এবং বিষয়টি চিন্তা করবেন।বিশেষ করে কুলাউড়া উপজেলার সরকারি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বস্তরের সকল জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলছি। ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সাধারণত এ দিবস পালিত হয় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যাদের কারনে এই মাতৃভাষা দিবস পালিত বা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কোনো দাওয়াত বা আমন্ত্রণ করা হয় না।
এমন কি দেখা যায় যে অনেক মুক্তিযোদ্ধা নামের রাজনৈতিক সংগঠন করে সাথে লীগ বা দল লাগালে তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয় অনেক বেশি।এ রকম কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাক্তিস্বার্থ রাজনীতিবিদদের কারণে মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার পরিবার তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা পুরো বাঙালি জাতির জন্য কলংকের বিষয়।
মোবাইলে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আরো বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমরা মুক্তিযদ্ধা পরিবার আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি, আমি আশা করি আমাদের উপজেলার সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।
Sharing is caring!