কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: আবহমান বাংলার চিরায়ত এক লোকজ উৎসব নবান্ন। নবান্নের শুরুতে কৃষি অধ্যুষিত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কৃষকরা সোনালি ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধানের দাম ভালো থাকায় করোনা মহামারির মধ্যেও কৃষকরা উৎসাহ নিয়ে মাঠ ভরা আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন। ধান কাটার পাশাপাশি কৃষাণ-কৃষাণীরা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত রয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে ধান কাটার এমন চিত্র দেখা গেছে। এ বছর সঠিক সময় বৃষ্টি হওয়ায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। তাই কাঙ্ক্ষিত ফলন হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন। তাই অগ্রহায়ণের প্রথম দিন থেকেই উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের কৃষকরা শুরু করেছেন ধান কাটা।
কমলগঞ্জ কৃষি অফিস বলছে, এ অঞ্চলে এবার আমন চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় মোট ১৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা হয়েছে। আর ১৭ হাজার ২৯৫ হেক্টর অর্জন হয়েছে। আমন চাষে প্রতি হেক্টরে চালের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে উফশী ২.৭৫ টন ও স্থানীয় ১.০৪ টন। অন্য জাতের ধানের পাশাপাশি ব্রি ধান ৪৯, ব্রি ধান ৫১, ব্রি ধান ৫২ ও ব্রি ধান ৮৭-এর ফলন এবার বেশি হয়েছে।
আলাপকালে কৃষক শরিফ মিয়া, মো. মুরাদ মিয়া, কাজল মালাকার, সবুর মিয়া ও রুনু কর জানান, আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে ধানের যে দাম রয়েছে সেই দাম অব্যাহত থাকলে তারা লাভবান হবেন। তবে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা শ্রমিক সঙ্কট রয়েছে। শ্রমিকরা বাড়তি মজুরি দাবি করছে।
ধানের আড়তদার সুয়েব আলী বলেন, বাজারে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় বাড়তি রয়েছে। বর্তমান বাজারে মোটা ধান ৮০০ টাকা মণ ও চিকন ধান ৮৫০ টাকা মণ হিসাবে কেনা হচ্ছে। কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, এ অঞ্চলের চাষিরা এবার আমনের বাম্পার ফলন পাবে। বিঘাপ্রতি ১৩ থেকে ১৫ মণ ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জুয়েল আহমেদ জুলি / হাকালুকি
Sharing is caring!