• [english_date] , [bangla_date] , [hijri_date]

দুই মুসলিম বিজ্ঞানী করোনার প্রথম কার্যকরী ভ্যাকসিন আবিষ্কারক

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত November 25, 2020
দুই মুসলিম বিজ্ঞানী করোনার প্রথম কার্যকরী ভ্যাকসিন আবিষ্কারক

মহামারি করোনা ভাইরাসে স্তব্ধ পুরো পৃথিবী। করোনার কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে বেশ কিছু সনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে প্রথম সুখবর জানিয়েছে বিশ্বখ্যাত ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মানভিত্তিক বায়োএনটেক কোম্পানি। প্রথম ফাইজারই ঘোষণা দেয়, তাদের ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৯৫ শতাংশ কার্যকর। এর পরপর আরেকটি কার্যকর ভ্যাকসিনের ঘোষণা দেয় মডার্না। তবে এক কথা বলাই বাহুল্য, প্রথম যে কার্যকরী ভ্যাকসিনের কথা জানিয়েছেন ফাইজার। সেটি প্রথম। আর এক মুসলিম দম্পতির সফল প্রচেষ্টার ফল প্রথম কার্যকরী ভ্যাকসিন।
ফাইজারের করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পুরো দায়িত্বে ছিলেন বায়োএনটেক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা তুরস্ক বংশোদ্ভূত জার্মান দম্পতি উগার শাহিন ও ওজলেম তুরেসি। এই দুই বিজ্ঞানী মূলত ক্যানসার সেল নিয়ে গবেষণার জন্য বায়োএনটেক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তুরস্কের ইস্কেন্দেরুন শহরে জন্মগ্রহণ করেন ৫৫ বছর বয়স্ক ড. উগার শাহিন। মাত্র চার বছর বয়সে অভিবাসী হিসেবে পরিবারের সঙ্গে জার্মানিতে আসেন। বাবা ফোর্ড গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সংসার চালাতেন। ছোট থেকেই উগার শাহিন চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। অবশেষে স্বপ্ন পূরণ শেষেই দ্রুতই যোগ দিতে হয় কাজে। কিন্তু এতে থেমে থাকেননি তিনি। কর্মস্থল থেকেই ১৯৯৩ সালে প্রথম পিএইচডি করেন।

সেখানেই পরিচয় হয় ড. ওজলেম তুরেসির সঙ্গে। তারপর বিয়ে। দুজন মিলে গড়ে তোলেন বায়োএনটেক নামের একটি গবেষণা কেন্দ্র। মূলত ক্যানসার নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুললেও তারা যে এমন মহামারিতে স্তব্ধ হয়ে যাওয়া পৃথিবীতে আবার প্রাণ ফিরিয়ে দেবার কাজে জড়িত হবেন তা কখনই ভাবেননি। করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কোনো পরিকল্পনা সে সময় ছিল না। সে সময়তো এই রোগের কারণ নতুন করোনাভাইরাসটির সংক্রমণই দেখা দেয়নি। এর অস্তিত্ব সম্পর্কেই কেউ ওয়াকিবহাল ছিল না।
ড. ওজলেম তুরেসির জন্ম জার্মানিতেই। জন্মের আগেই তাঁর পরিবার জার্মানিতে পাড়ি জমায়। বাবা ছিলেন চিকিৎসক। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনিও চিকিৎসক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। উগার শাহিনের সঙ্গে একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। বর্তমানে ৫৩ বছর বয়সী বায়োএনটেকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ওজলেম তুরেসি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা। ইমিউনলজিস্ট হিসেবে তাঁর খ্যাতি রয়েছে।
মাত্র দুই বছর আগে জার্মানির একটি সেমিনারে মানবদেহের কোষে অবস্থিত আরএনএ সেল সম্পর্কে গবেষণামূলক তথ্য উপস্থাপন করেছিলেন উগার শাহিন। সেখানেই পরিচয় হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজারের সিইও আলবার্ট বোরলার সঙ্গে।
করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পরলে বোরলা বায়োএনটেকের সিইও ড. শাহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সেই আলাপের সূত্র ধরেই শুরু হয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের গবেষণা। তাঁদের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে বর্তমানে ১ হাজার ৪০০ গবেষক কর্মরত।
এদিকে তাদের আবিষ্কৃত করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কে ড. শাহিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানবতার জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সুখবর হচ্ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে আমরা একটি ভ্যাকসিনের খোঁজ পেয়েছি।’ মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করা এই দুই বিজ্ঞানী বিয়ের দিনটিও তাঁরা ক্যানসার গবেষণাতেই কাটিয়েছিলেন।

এএইচ/হাকালুকি

Sharing is caring!

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031